উত্তরপ্রদেশের বদায়ুন ফের মনে করিয়ে দিলো দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের নিষ্ঠুরতা কে।এক মাস বয়সী মহিলাকে গণধর্ষণের পর গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে রাস্তায় ফেলে দিয়ে যায় বর্বররা। রক্তক্ষরণ এর জেরে মৃত্যু হয় মহিলার। মেডিকেল রিপোর্টে জানা যায়, নির্যাতিতের পা পাঁজরের হাড় গুলো ভেঙে গিয়েছে।
বাতায়নের এই ঘটনায় ফের যোগীর রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়োসড়ো প্রশ্ন উঠলো। হাথরসে দলিত তরুনীর ধর্ষণ-খুন এখনো লোকজনের স্মৃতিতে দগদগে।তারমধ্য বেগুনের এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কে যে নতুন করে বিড়ম্বনায় ফেলবে আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বদায়ুনের উঘাইতি থানা এলাকার যেখানে এই ধর্ষনের ঘটনা ঘটে সেই গ্রামে বাড়ি এই মহিলার। রবিবার সন্ধ্যায় গ্রামের মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে আর তিনি ফেরেন নি। এর আগে ওই মন্দিরে পূজা দিতে তিনি অনেক বাড়ি গিয়েছেন। তবে কখনো কোনো বিপদের সম্মুখীন হতে হয় নি তাকে। মহিলাকে যেখানে ধর্ষকরা ধর্ষণ করে ফেলে রেখে গিয়েছিলো,সেখানকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে রবিবার রাত ১২ নাগাদ একটি গাড়িকে তারা দ্রুত পালিয়ে যেতে দেখেন। গাড়িতে চালক ছাড়া আরো দুজন ছিল।গাড়িটি চলে গেলে মাঝ বয়সী ওই মহিলাকে তারা দেখতে পান। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান।
মঙ্গলবার নির্যাতিতা মহিলার পোসমাটাম এরপর রিপোর্টে জানা যায়, তার গোপন অঙ্গে মারাত্মক আঘাত এর একাধিক চিহ্ন ছিল। তা থেকেই রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার পাঁজরের হাড় গোড় একটি পা ভেঙে গেছিলো। বুকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের কারণে পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়। গন ধর্ষণ খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের চারটি পৃথক টিম গঠন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মন্দিরের পুরোহিত মহন্ত বাবা সত্যনারায়ন, তার সহচর বেদরাম ও চালক জশপালকে। গ্রামবাসীদের মুখে এদের বিবরণ শুনে এই তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। পুলিশের দৃড় ধারণা, মন্দিরের পুরোহিত ই তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
মহিলার পরিবারের অভিযোগ, উঘাইতিথানায় অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও সেখানকার অফিসার রবীন্দ্র প্রতাপ সিংহ ঘটনাস্থলে আসতে চাননি। যে কারণে ঘটনার প্রায় 18 ঘণ্টা পরে সোমবার বেলায় দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। একজন মহিলা চিকিৎসক সহ তিন ডাক্তারের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হয়।
দিল্লির পর এমন ঘটনা রাজ্য তথা দেশের পক্ষে অত্যন্ত দুঃখজনক। এখনো মহিলারা এমন বিকৃত মস্তিষ্কের কিছু পুরুষের জন্য বাইরে বেরোতে ভয় পায়। তবে এ নিয়ে যোগী সরকারের উপর অতটা চাপ আসবে তা তো সময় বলে দেবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন